Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিশেষ ঘোষণাঃ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ এর আওতায় ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ১৩ অক্টোবর হতে ০৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. (২৮ আশ্বিন হতে ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত মোট ২২ (বাইশ) দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বিপণন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। বিস্তারিত:-


শিরোনাম
আকস্মিক বন্যায় মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের করণীয়
বিস্তারিত

অস্বাভাবিক পানি প্রবাহ, হঠাৎ করে বা আকস্মিকভাবে কোন এলাকায় আঘাত হানাকে আকস্মিক বন্যা বলে। আকস্মিক বন্যায় প্রাকৃতিক ও ভৌত-অবকাঠামোসহ মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারেঃ

আকস্মিক বন্যার পূর্বে করণীয়: 

  • পুকুর বা জলাশয়ের চারিদিক বাঁশের বানা বা ঘন জাল দিয়ে ঘিরে দিন। 
  • ২৩ এপ্রিল-অক্টোবর (চৈত্র আশ্বিন) মাসে আকস্মিক বন্যার আগাম সতর্কতা পেতে সজাগ থাকুন। 
  • টিভি/রেডিওতে নিয়মিত আবহাওয়া বার্তা শুনে বা ১০৯০ নম্বরে জি ফোন করে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা জানুন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। 
  • পুকুরের/ জলাশয়ের অপেক্ষাকৃত বড় মাছগুলি বিক্রি করার ব্যবস্থা নিন। 
  • বন্যা কবলিত হতে পারে এমন পুকুরের প্রজননক্ষম মাছ ও ছোট মাছগুলিকে সতর্কতার সাথে পুকুরে নেটের তৈরি হাপা বা খাঁচা স্থাপন করে তাতে সংরক্ষণ করুন বা বন্যা-ঝুঁকিমুক্ত জলাশয়ে স্থানান্তর করুন। 
  • পাড়ে বেড়া দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জাল, মাছের খাবার, চুন, অক্সিজেন বৃদ্ধিকারক ও অন্যান্য অনুমোদিত মেডিসিন, প্রয়োজনীয় উপকরণ মজুত করে রাখুন। 
  • মৎস্যজীবীগণ মাছ ধরার উপকরণ (জাল, নৌকা ইত্যাদি) নিরাপদ স্থানে রাখুন। 
  • নিকটস্থ মৎস্য অফিস ও অন্যান্য সেবা দানকারী সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। 

আকস্মিক বন্যাকালীন করণীয়: 

  • পুকুর বা জলাশয়ের সুবিধাজনক স্থানে একাধিক জায়গায় ডাল-পালার ঝোপঝাড় দিয়ে মাছের আশ্রয়স্থল বা কাঠা বানিয়ে নিন যাতে মাছ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। 
  • মাছকে নিয়মিত দুইবেলা (সকালে সূর্য্য উঠার দুই ঘন্টা পর এবং বিকাল ৩-৪ টার দিকে) খাদ্য দিতে হবে। 
  • দ্রুত আকৃষ্ট হয় এমন খাদ্য/ খাদ্য একই এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া জলাশয়ের মালিকগণ সমাজভিত্তিক বা যৌথভাবে জাল বা বানা দিয়ে ঘেরাও করে মাছ চাষ ও রক্ষা উপকরণ (খৈল, চিটাগুড়, কেঁচো ইত্যাদি) জলাশয়ের নির্দিষ্ট দুই বা ততোধিক স্থানে দিতে হবে। 
  • বন্যা কবলিত পুকুরের মাছ খাবি খাচ্ছে এমন লক্ষণ দেখা দিলে এয়ারেটর স্থাপন/ পাতিল দিয়ে পানিকে আন্দোলিত করে বা অক্সিজেনবর্ধক করার উদ্যোগ নিতে পারেন। উপকরণ নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করে অক্সিজেন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। 
  • বন্যা চলাকালীন সময় জলাশয়ে প্রবল দ্রোতের মধ্যে মৎস্যজীবীগণ মাছ ধরা থেকে বিরত থাকুন এবং নিজেদের জান-মাল রক্ষায় সচেষ্ট থাকুন। 
  • মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরামর্শ সেবার জন্য অফিস চলাকালীন সময়ে ১৬১২৬ হট লাইন নম্বরে ফোন করুন। 

আকস্মিক বন্যা পরবর্তীকালে করণীয়:  

  • পুকুর বা জলাশয়ের পাড় ভেঙ্গে গেলে দ্রুত মেরামত করুন বা ভাংগা অংশে জাল/বানা দিয়ে ঘিরে ফেলুন। 
  • বন্যার পানির সাথে বাহির থেকে ভেসে আসা অনাকাংখিত মাছ পুকুরে প্রবেশ করলে তা ধরে ফেলুন। 
  • বন্যার পানি নেমে গেলে স্থানীয় মৎস্য অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী পুকুরে পরিমাণমত চুন এবং লবণ প্রয়োগ করুন। 
  • বন্যার পানি নেমে যাওয়ার নতুন করে মাছ চাষ শুরু করার পূর্বে স্থানীয় মৎস্য অফিসের পরামর্শ গ্রহণ করুন। 
  • পানিতে প্রাকৃতিক খাবার তৈরি হলে অর্থাৎ পানি সবুজাভ হলে ভাল জাতের বড় আকারের চাপের পোনা নির্দিষ্ট মজুদ ঘনত্ব অনুসারে মজুত করুন। 
  • জাল টেনে মাছের পরিমাণ নির্ধারণ করে নিয়মিত ও পরিমিত সুষম মৎস্য খাদ্য প্রয়োগ করুন।
  • পুকুরের পানির গুণাগুণ ও মাছের স্বাস্থ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। মাছ বড় হলে আংশিক আহরণ করে মজুদ ঘনত্ব ও পুকুরের ধারণ ক্ষমতা ঠিক রাখুন।
  • বন্যাকবলিত এলাকায় পানি ৩-৪ মাস স্থায়ী হওয়ার সম্ভবনা থাকলে পেন বা খাঁচায় মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। 
  • পানি নেমে গেলে প্রয়োজনে জাল নৌকা মেরামত করুন মৎস্যজীবীগণ বন্যার বন্যাকবলিত পুকুরে মাছের রোগ-বালাই বা অন্য কোন সমস্যা দেখা দিলে স্থানীয় মৎস্য অফিস ও অন্যান্য সেব্য দানকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখুন। 


প্রচারেঃ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়

সৈয়দপুর, নীলফামারী।

জরুরী প্রয়োজনে মোবাইল নম্বর: ০১৭৬৯৪৫৯৭৭৭

০১৭৩১৩২৯০০৬

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
08/10/2024
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2024