১. মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান :
২০০৮-০৯ অর্থবছরে অত্র উপজেলায় মাছের মোট উৎপাদন ছিল ২০১০.৩৪ মে টন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ তথা মৎস্যবান্ধব কার্যক্রম এবং চাষি-উদ্যোক্তা পর্যায়ে চাহিদামাফিক কারিগরি পরিসেবা প্রদানের ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে এ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩০৬৪.২৬ মে.টন। গত ১০ বছরের মৎস্য উৎপাদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বেশ উৎসাহব্যঞ্জক এবং এ ক্ষেত্রে প্রায় স্থিতিশীলতা বিরাজমান। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানেরসুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
২. পোনা অবমুক্তি কার্যক্রম ও বিল নার্সারি স্থাপন : উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্তি কার্যক্রমের আওতায় ২০০৮-০৯ অর্থ বছর হতে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় বছরে রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অত্র উপজেলায় ৭.৬১ টন গুণগতমানসম্পন্ন ও বিপন্ন প্রায় প্রজাতির পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে মোট পোনামাছ অবমুক্তির পরিমাণ প্রায় ২ টন। এ পোনামাছ অবমুক্তি কার্যক্রমের ফলে বার্ষিক প্রায় ১৮ মে টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদিত হচ্ছে এবং এরই মধ্যে অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছের আবির্ভাব ঘটেছে। বিগত ২০০৯-১০ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত রাজস্ব বাজেটে মোট ১৪টি বিল নার্সারি স্থাপিত হয়েছে। এ কার্যক্রম পরিচালনার ফলে অত্র উপজেলায় উন্মুক্ত জলাশয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ পোনা উৎপাদিত হচ্ছে এবং জলমহালের ওপর নির্ভরশীল জেলে/ সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধিসহ স্থানীয় পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষের সরবরাহ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩. সমাজভিত্তিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন : জলাশয় সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবী-জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জলাশয়ের জৈবিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলাশয় সংশ্লিষ্ট সুফলভোগী/জেলেদের সমন্বয়ে সমাজভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিপন্ন প্রায় মৎস্য প্রজাতির সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম স্থাপন একটি অন্যতম কারিগরি কৌশল। বিগত ১৪ বছরে কুন্দল বিলে ১ টি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার ফলে বিপন্ন প্রায় মৎস্য প্রজাতি যথা-চিতল, ফলি, বামোস, কালিবাউস, আইড়, টেংরা, মেনি, রানী, সরপুঁটি, মধু পাবদা, রিটা, কাজলী, চাকা, গজার, তারা বাইম ইত্যাদি মাছের প্রাপ্যতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৮ -০৯ হতে চলমান প্রকল্প সমুহ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস