সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ
মৎস্যখাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও অর্জিত সাফল্যসমূহঃ
মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য ও চিংড়িসহ অন্যান্য জলজসম্পদের স্থায়িত্বশীল উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে উন্মুক্ত জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ ক্ষেত্র হতে প্রাপ্ত সুফলের মাধ্যমে দরিদ্র মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষি তথা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন। উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি, কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
চিত্র: বিগত ১০ বছরে মৎস্য উৎপাদনের ক্রমধারা
মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক চাষি পর্যায়ে লাগসই ও জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উন্মুক্ত জলাশয়ে সহ-ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন এবং সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৯.১৫ লক্ষ মে.টন যা ২০০৭-০৮ সালের মোট উৎপাদন ২৫.৬৩ লক্ষ মে.টন এর দ্বিগুণ এবং ২০১০-১১ সালের মোট উৎপাদন ৩০.৬২ লক্ষ মে.টন এর চেয়ে ৬০.৫১ শতাংশ বেশি। মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের পরিমাণ চাহিদার চেয়ে (৬০ গ্রাম/দিন/জন) বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭.৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে (HIES, 2022)।
মৎস্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্য আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) The State of World Fisheries and Aquaculture 2024 এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে ২য় অবস্থানে উঠে এসেছে এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৫ম স্থান ধরে রেখেছে যা মৎস্যখাতে বর্তমান সরকারের একটি অভাবনীয় সাফল্য। এছাড়াও ক্রাস্টাশিয়ান্স আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে ৮ম এবং কোস্টাল ও সামুদ্রিক মাছ আহরণে ১৪তম স্থান অর্জন করেছে। বিশ্বে ইলিশ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান ১ম, তেলাপিয়া উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ এবং এশিয়ায় ৩য়। খাতওয়ারী উৎপাদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের অবদান ২৮.১৫ শতাংশ, বদ্ধ জলাশয়ের অবদান ৫৮.০৩ শতাংশ এবং সামুদ্রিক জলাশয়ের অবদান ১৩.৮২ শতাংশ।
চিত্র: ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাতওয়ারী মৎস্য উৎপাদন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস